হাল ফ্যাশনে বৈচিত্র্যময় আংটি

প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫ সময়ঃ ২:১৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:১৯ অপরাহ্ণ

ফারজানা ওয়াহিদ

angti3

আংটি শুধু একটি আঙ্গুলেই নয় বরং সব আঙ্গুলেই ব্যবহার করে এর বৈচিত্র্য আনা যায়। ছোট্ট পাথর বা মুক্তা বসানো সোনার আংটির চলও কমে গেছে। এর বদলে দেখা যাচ্ছে কাঠ, পিতল, পুঁতি, মুক্তা, মিনা করা ও পাথরে নজরকাড়া নকশার বড় আংটি।

এখন একটু বড় বা আঁকাবাঁকা আকৃতির আংটির চল এসেছে। কুর্তা বা ফতুয়ার সঙ্গে এ ধরনের আংটি বেশ মানিয়ে যায়। পরা যেতে পারে শাড়ি বা কামিজের সঙ্গেও। তবে দেশি পোশাকের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী নকশার বড় আংটিই বেশি মানানসই।

angti4পোশাকের রঙের সঙ্গে না মিলিয়ে বরং বিপরীত রঙের পাথর ও নকশার আংটি পরলেই বেশি ভালো দেখাবে। এ ক্ষেত্রে যেহেতু আংটিটাই বেশি দৃষ্টিগোচর হবে, তাই হাতে মোটা বালা, চুড়ি বা অন্য কিছু না পরাই ভালো। আর পরলেও তা হতে হবে খুব সাধারণ ও ছিমছাম। তবে চাইলে অন্য হাতে বালা অথবা ঘড়ি পরা যেতে পারে। অন্য সময় অনামিকাতে পরা হলেও আকারে বড় হওয়ায় এ ধরনের আংটি মধ্যমা, অর্থাৎ মাঝের আঙুলে পরা উচিত। কারণ, এটি দুই পাশের দুই আঙুলেরও কিছু অংশ ঢেকে রাখে।

গয়না ও পোশাক দুটিই জমকালো নকশার হলে ভালো দেখায় না। তাই পোশাক ও অনুষঙ্গের মধ্যে সব সময় ভারসাম্য বজায় রাখা উচিত। একটি জমকালো হলে আরেকটি হওয়া চাই ছিমছাম। লম্বা আঙুলে এ ধরনের আংটি দেখতে খুব সুন্দর। যাদের হাত বেশি রোগা এবং আঙুলগুলো ছোট, তাদের বড় আংটি এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। তবে তারা তখন উঁচু আংটি না পরে বড় কিন্তু সমতল নকশার আংটি বেছে নিতে পারেন।

angti2কাঠের বড় আংটিগুলো দেখতে ভারী মনে হলেও তা আসলে অনেক হালকা। আকারে বড় হলেও যেন কাজের সময় অসুবিধা না হয়, সে কথা মাথায় রেখেই আংটিগুলোর নকশা করা হয়েছে। পশ্চিমা ধাঁচের পোশাকের সঙ্গে নতুনত্ব আনতে এ রকম বড় ও ভিন্নধর্মী নকশার আংটি পরা যেতে পারে। চুড়ি বা ব্রেসলেটের বদলে আংটিতেই এখন বেশি স্টাইলিশ দেখাবে।

angti1কোন পোশাকের সঙ্গে কী ধরনের আংটি ভালো দেখাবে, তা নির্ভর করে পোশাক ও আংটির নকশার উপর। আজকাল অনেককে ফাংকি টাইপের কিছু আংটিও পরতে দেখা যাচ্ছে। অনলাইন দোকান অরেঞ্জ থিওরির সংগ্রহে আছে বেশ মজার ও ভিন্নধর্মী কিছু আংটি। চিঠির খাম, কমলালেবু, টেলিভিশন প্রভৃতি যদি আংটি হিসেবে পাওয়া যায়, তাহলে মন্দ কী! তাদের কোনো কোনো আংটিতে আবার ফুটে উঠছে রবীন্দ্রনাথ কিংবা উত্তম-সুচিত্রার ছবি।

এ ধরনের আংটিগুলো বেশির ভাগই গোল, বরফি, তিন কোনা ও ডিম আকৃতির। এতে ধাতু ও রং-চঙে পাথরই বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। এগুলো পাওয়া যাচ্ছে বিবিয়ানা, আড়ং, রঙ, অঞ্জনস, আইডিয়াস ইত্যাদি ফ্যাশন হাউসে। এ ছাড়া পাওয়া যাবে বিভিন্ন অনলাইন দোকানে।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/এফজে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G